ডায়াবেটিস রোগীর অন্ধত্ব রোধে(prevent blindness) উদ্যোগ আইহেলথস্ক্রিনের
বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ জানেই না যে নীরব ঘাতক ডায়াবেটিস তাদের শরীরে বাসা বেঁধে ফেলেছে। তারা যখন চোখ বা অন্য অঙ্গের জটিলতা বোধ করে চিকিৎসকের কাছে যান তখনই বিষয়টি ধরা পড়ে। যে স্তরে (স্টেজে) ডায়াবেটিস শনাক্ত হয় ততক্ষণে তার স্পর্শকাতর অঙ্গ চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়। সেই বড় ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষা তথা অন্ধত্ব প্রতিরোধের (prevent blindness)পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের বিষয়ে আগাম ধারণা দিতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আর্টিফিশিয়াল আইহেলথস্ক্রিনিং কার্যক্রম।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সঙ্গে মিলে এ নিয়ে কাজ করছে আইহেলথস্ক্রিন বাংলাদেশ লিমিটেড। গতকাল জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং জাদুঘর প্রাঙ্গণে ভ্রাম্যমাণ আইস্ক্রিন ল্যাবে পরীক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. এ কে আজাদ খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে সশরীরে উপস্থিত থেকে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন- ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুদ্দীন। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে আইস্ক্রিনিংয়ের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন- আইহেলথস্ক্রিন বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধান বিজ্ঞানী ও সিইও ড. মো. আলাউদ্দীন ভূঁইয়া।
আর বাংলাদেশে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম এবং কীভাবে দেশের চিকিৎসা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে
অবদান রাখছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম
সোহেল রানা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজকদের তরফে জানানো হয়- জনবহুল বাংলাদেশে
ব্যাপকভিত্তিক চোখের পরীক্ষায় যে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে সেই বায়োটেক
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে ১৫ বছরের গবেষণা রয়েছে। যুগান্তকারী ওই প্রযুক্তি
নন-ইনভেসিভ আইস্ক্রিনিং এবং সেফ প্রিভেন্টিভ। যা ইতিমধ্যে এনআইএইচ-এর থেকে ২.৫ মিলিয়ন
ডলার রিসার্চ ফান্ডিং পেয়েছে। এটি সর্বস্তরের মানুষের জন্য সহজলভ্য। স্বল্প মূল্যের ওই
স্ক্রিনিংয়ের সুবিধা একজন দিনমজুর বা একেবারে প্রান্তিক মানুষের কাছেও বহনযোগ্য হবে
বলে আশা করেন সংশ্লিষ্টরা। তারা এ-ও জানান, কেবল স্ক্রিনিংই নয়, সেই সঙ্গে শিক্ষা
ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য নতুন উদ্ভাবন নিয়েও কাজ করছে আইহেলথ স্ক্রিন
বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে আইহেলথস্ক্রিন ইনক, ইউএসএ’র নিউ ইয়র্কের কার্যক্রম তুলে ধরে বলা
হয় যুক্তরাষ্ট্রে এটি ব্যাপক সফলতা পাচ্ছে।
তাদের অত্যাধুনিক সেবা সমূহের মধ্যে
রয়েছে- স্ক্রিনিং (ডায়াবেটিস রেটিনাপ্যাথি, এএমডি এবং
গু্লকোমা), ইলেক্ট্রনিক হেল্থ রেকর্ড। রোগ-পূর্ব সতর্কীকরণের জন্য
অ্যাপ-আইপ্রেডিক্ট স্ট্রোক, আইপ্রেডিক্ট হার্ট অ্যাটাক এবং আইপ্রেডিক্ট ডায়াবেটিস।
জানানো হয়, আইহেলথস্ক্রিন বাংলাদেশ লিমিটেড, ২০১৭ থেকে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম
পরিচালনা করছে, তবে এটি এতোদিন ছিল অনেকটা সীমিত পরিসরে। কিন্তু তাদের দক্ষ আইটি টিম
বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছে চিকিৎসা এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে।
এছাড়া বিভিন্ন সেবাসমূহের মধ্যে রয়েছে- অত্যাধুনিক টেলিমেডিসিন এবং ইলেকট্রনিক হেলথ
রেকর্ডসহ মাইহেলথ ওয়েব সার্ভিস এবং অ্যাপ।